টাকা আছে কিন্তু সময় নেই তাহলে আপনার জমানো অল্প টাকা দিয়ে ব্যবসায় অল্প সময় দিয়ে কি কি ব্যবসা করতে পারেবেন জেনে নিন।
টাকা আছে কিন্তু সময় নেই তাহলে আপনার জমানো অল্প টাকা দিয়ে ব্যবসায় অল্প সময় দিয়ে কি কি ব্যবসা করতে পারেবেন জেনে নিন। 👇ক্লিক করুন
আপনার যদি নিজে সময় না থাকে এবং অন্য কাউকে দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করাতে চান, তাহলে এমন ব্যবসা বেছে নিতে হবে যেগুলোতে সরাসরি আপনার উপস্থিতি প্রয়োজন হয় না এবং নির্ভরযোগ্য কাউকে দায়িত্ব দিতে পারবেন। নিচে কিছু আইডিয়া দেওয়া হলো:
১. পোল্ট্রি ফার্মিং বা হাঁস-মুরগির খামার
- ব্যবসার ধরন: মুরগি বা হাঁস পালন করে ডিম বা মাংস বিক্রি।
- আপনার ভূমিকা: একজন অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপক বা কর্মচারী নিয়োগ করবেন, যিনি খামার দেখাশোনা করবেন।
- উপযুক্ত স্থান: গ্রামীণ এলাকায়।
- আনুমানিক লাভ: ৬-১২ মাসের মধ্যে লাভ শুরু হতে পারে।
২. ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা (Equipment Rental)
- ব্যবসার ধরন: ছোট নির্মাণ সরঞ্জাম, সাউন্ড সিস্টেম, ক্যামেরা, বা ইভেন্ট-সম্পর্কিত সরঞ্জাম ভাড়া দেওয়া।
- আপনার ভূমিকা: ব্যবস্থাপনার জন্য একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি নিয়োগ করুন।
- লাভজনক কারণ: প্রাথমিক বিনিয়োগের পর প্রতিটি ভাড়ার মাধ্যমে আয় আসবে।
৩. শেয়ার ব্যবসা (Partnership বা Passive Investment)
- ব্যবসার ধরন: আপনি কারো চলমান ব্যবসায় একটি নির্দিষ্ট অংশীদারিত্ব নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারেন।
- উদাহরণ: গ্রোসারি শপ, ফার্মেসি, ইন্টারনেট ক্যাফে বা ছোট রেস্তোরাঁ।
- আপনার ভূমিকা: শুধু বিনিয়োগ করবেন, এবং মাস শেষে লাভের একটি অংশ নেবেন।
৪. রাইড শেয়ারিং বা গাড়ি ভাড়া দেওয়া (Car Rental or Ride Sharing)
- ব্যবসার ধরন: একটি প্রাইভেট কার কিনে সেটি রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম (যেমন উবার বা পাঠাও) অথবা কার ভাড়া পরিষেবায় যুক্ত করা।
- আপনার ভূমিকা: একজন ড্রাইভার নিয়োগ দিয়ে গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করবেন।
- লাভ: প্রতিদিন বা প্রতি মাসে একটি নির্ধারিত আয় পেতে পারেন।
৫. বিউটি পার্লার বা সেলুন (Managed by Others)
- ব্যবসার ধরন: একটি ছোট বিউটি পার্লার বা সেলুন খুলুন এবং অভিজ্ঞ কর্মী নিয়োগ করুন।
- আপনার ভূমিকা: মাসিক হিসাব রাখা এবং সঠিক ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে পরিচালনা।
- উপযুক্ত স্থান: জনবহুল এলাকা।
৬. গুদাম বা গোডাউন ভাড়া
- ব্যবসার ধরন: একটি ছোট গুদাম তৈরি করে বিভিন্ন পণ্যের জন্য ভাড়া দেওয়া।
- আপনার ভূমিকা: প্রথমে একটি ছোট জমি ভাড়া নিয়ে গুদাম বানাবেন এবং ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিবেন।
- লাভজনক কারণ: স্থায়ী আয় আসবে।
৭. কৃষিজাত পণ্য কেনাবেচা (Mediating in Agro Business)
- ব্যবসার ধরন: কৃষকের কাছ থেকে পণ্য কিনে শহরের পাইকারি মার্কেটে বিক্রি করা।
- আপনার ভূমিকা: মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করা এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সাথে কাজ করা।
- পণ্য: ধান, চাল, সবজি, ফল ইত্যাদি।
৮. ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসা
- ব্যবসার ধরন: কোনো পরিচিত ব্র্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিন, যেমন ফাস্ট ফুড চেইন বা পানীয়র দোকান।
- আপনার ভূমিকা: নিয়মিত হিসাব রাখবেন এবং কর্মচারী নিয়োগ করবেন।
৯. ই-কমার্স বা ড্রপশিপিং ব্যবসা (Managed by Freelancer)
- ব্যবসার ধরন: অনলাইনে পণ্য বিক্রি বা ড্রপশিপিং।
- আপনার ভূমিকা: ওয়েবসাইট বা পেজ সেটআপের দায়িত্ব একজন ফ্রিল্যান্সারকে দিন।
- লাভজনক কারণ: সময় না দিয়ে ম্যানেজমেন্ট করা যায়।
১০. মুদিখানার দোকান বা কনভেনিয়েন্স শপ
- ব্যবসার ধরন: আপনার পুঁজি দিয়ে দোকান চালু করুন এবং একজন ম্যানেজার নিয়োগ করুন।
- আপনার ভূমিকা: মাসিক লাভের হিসাব করবেন এবং মাঝেমধ্যে দোকান তদারকি করবেন।
আপনার জন্য করণীয়:
- নির্ভরযোগ্য এবং দক্ষ কাউকে দায়িত্ব দিন।
- প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবসার উপর নজর দিন।
- বিনিয়োগের আগে সব খরচ এবং লাভের হিসাব ভালোভাবে করুন।
আপনার আগ্রহ অনুযায়ী যেকোনো একটি ব্যবসা নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করতে চাইলে আমাকে জানাতে পারেন। 😊
কোন মন্তব্য নেই