২০২৫ সালে বিশ্বের 🌍 সর্বোচ্চ হজ কোটা প্রাপ্ত ১০টি দেশ বিস্তারিত প্রতিবেদনে দেখুন | Check out the 10 countries with the highest Hajj quotas in the world in 2025
২০২৫ সালে বিশ্বের 🌍 সর্বোচ্চ হজ কোটা প্রাপ্ত ১০টি দেশ বিস্তারিত প্রতিবেদনে দেখুন | Check out the 10 countries with the highest Hajj quotas in the world in 2025
হজ ইসলাম ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ, যা আর্থিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম প্রতিটি মুসলমানের জন্য জীবনে একবার পালন করা ফরজ। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায় হজ পালন করতে আসেন। সৌদি সরকার দেশভিত্তিক হজযাত্রীর জন্য নির্দিষ্ট কোটা নির্ধারণ করে, যা মূলত সে দেশের মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাতে নির্ধারিত হয়।
২০২৫ সালে হজ পালনের জন্য যেসব দেশ সর্বোচ্চ কোটা পেয়েছে, সেগুলোর তালিকা ও বিশ্লেষণ নিচে তুলে ধরা হলো:
🕌 ১. ইন্দোনেশিয়া 🇮🇩
কোটা: প্রায় ২,৪০০০০ জন
বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়া প্রতিবছরই সর্বোচ্চ হজযাত্রীর কোটা পেয়ে থাকে। হজ ব্যবস্থাপনা ও দীর্ঘ প্রতীক্ষার তালিকা থাকার কারণে ইন্দোনেশিয়ায় হজ পালন অত্যন্ত কাঙ্ক্ষিত একটি বিষয়।
🕌 ২. পাকিস্তান 🇵🇰
কোটা: প্রায় ১,৭৯,২১০ জন
পাকিস্তান মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়ায় এখানে প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ হজে যেতে আগ্রহী থাকেন। সরকারের তত্ত্বাবধানে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীরা হজ সম্পন্ন করে থাকেন।
🕌 ৩. ভারত 🇮🇳
কোটা: প্রায় ১,৭৫,০২৫ জন
ভারতের মুসলিম জনগোষ্ঠী বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ। দেশটির কেন্দ্রীয় হজ কমিটি এবং রাজ্য হজ কমিটি সমন্বয়ে হজ ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হয়।
🕌 ৪. বাংলাদেশ 🇧🇩
কোটা: প্রায় ১,২৭,১৯৮ জন
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিশাল সংখ্যক হজযাত্রী সৌদি আরবে যান। সরকারের হজ মন্ত্রণালয় এবং হজ এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজ ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হয়।
🕌 ৫. নাইজেরিয়া 🇳🇬
কোটা: প্রায় ৯৫,০০০ জন
আফ্রিকার সবচেয়ে মুসলিম জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে নাইজেরিয়া অন্যতম। দেশটির হজ কমিশন অত্যন্ত সংগঠিতভাবে হজ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
🕌 ৬. ইরান 🇮🇷
কোটা: প্রায় ৮৭,৫০০ জন
ইরান থেকে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হাজি হজ পালনে সৌদি আরব যান। যদিও দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে মাঝে মাঝে কিছু বাধা সৃষ্টি হয়, তবে কোটা অনুযায়ী হজযাত্রীরা যেতে পারেন।
🕌 ৭. তুরস্ক 🇹🇷
কোটা: প্রায় ৮৩,৪৩০ জন
তুরস্কে হজ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালিত হয়। তুরস্ক সরকার এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অত্যন্ত উন্নত ও প্রযুক্তি-ভিত্তিক হজ সেবা প্রদান করে।
🕌 ৮. মিসর 🇪🇬
কোটা: প্রায় ৭৮,০০০ জন
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম মুসলিম দেশ মিসর থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব রওনা হন।
🕌 ৯. আলজেরিয়া 🇩🇿
কোটা: প্রায় ৩৬,০০০ জন
উত্তর আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ আলজেরিয়া থেকে হজযাত্রা সুসংগঠিতভাবে পরিচালিত হয় এবং কোটা অনুযায়ী প্রত্যেক বছর হাজিদের পাঠানো হয়।
🕌 ১০. মরক্কো 🇲🇦
কোটা: প্রায় ৩৪,০০০ জন
আফ্রিকার আরেকটি মুসলিম দেশ মরক্কো থেকে প্রতি বছর হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজে যান। সরকারের হজ দপ্তর এসব কার্যক্রম পরিচালনা করে।
উপসংহার
২০২৫ সালে হজের জন্য সৌদি আরব কর্তৃক নির্ধারিত কোটার ভিত্তিতে দেখা যায়, মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাতে এবং পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রতিটি দেশ নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় হজ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। হজ একটি মহান ইবাদত এবং শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে হজ পালনের তাওফিক দান করুন। 🤲আমিন🤲
কোন মন্তব্য নেই